জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্যদের ডায়াবেটিসজনিত অন্ধত্ব এড়াতে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করা হয়েছে। দিনব্যাপী পরিচালিত ‘আই স্ক্যানিং ক্যাম্পে’ ৬০ জন সদস্যের চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেডওকে হেলথ কেয়ারের সহায়তায় এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
এ সময় জেডওকে হেলথ কেয়ারের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের আজ চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা হলো। সেবামূলক এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে চার কোটি ডায়াবেটিক রোগীর দৃষ্টি শক্তি বাঁচানো সম্ভব। আমরা উদ্যোগটি সফল করতে আর্টেলাসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি।
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে ইলিয়াস খান বলেন, জেডওকে হেলথ কেয়ারের সৌজন্যে ক্লাবের সিনিয়র সদস্যদের রেটিনা পরীক্ষা করাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ক্লাব সদস্যদের চোখের সুরক্ষায় আগামী সপ্তাহেও রেটিনা টেস্ট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
ক্যাম্পেইন উদযাপনে জেডওকে হেলথ কেয়ারের পক্ষে নার্গিস সোমা বলেন, দেশের মানুষের চোখে রেটিনা পরীক্ষা সহজলভ্য করতে এই আয়োজন। রেটিনা পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্র ইন্টিলিজেন্ট রোবাটিক টেস্টিং মেশিনটি বাংলাদেশে পরিচিত বাড়াতেও এ আয়োজন করেছি।
প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ও ক্লাব সদস্য অঞ্জন রহমানের সহযোগিতায় ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন- ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী ও শাহনাজ পলি। এতে অংশ নেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সিনিয়র সদস্য সুভাষ চন্দ বাদল, জাকারিয়া কাজল, কায়কোবাদ মিলন, আশরাফুল হক, মজিদুল হক বিশ্বাস, নূরুল হাসান খান, কবি আবদুল মান্নান, আলী মামুদ প্রমুখ।
রোগটির নাম ডায়াবেটিস রেটিরোপ্যাথি, যা ডায়াবেটিক চক্ষু রোগ নামেও পরিচিত। এটি একটি মেডিকেল অবস্থা যেখানে ডায়াবেটিস মেলিটাসের কারণে রেটিনার ক্ষতি হয়ে থাকে। উন্নত দেশগুলোতে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে এটিকে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রেটিনাপ্যাথি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত করে। এছাড়া যাদের ২০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ডায়াবেটিস রয়েছে সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা ও চোখের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অন্তত ৯০ শতাংশ নতুন রোগীর সংখ্যা কমানো সম্ভব হতে পারে।